সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক অমুল্য কুমার চৌধুরী।
সোমবার দু’জনকে সিলেট মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান এর আদালতে তোলা হয়। এসময় পুলিশ তারদের সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি খোকন কুমার দত্ত। তবে আসামি পক্ষের হয়ে কেউ আদালতে ওঠেনি। এদিকে মামলার অপর আসামি রবিউল ইসলামকে বিকেল নাগাদ আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
মামলায় এ পর্যন্ত এই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আটক বাকি তিনজন মাহমুদুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুলকে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে তাদেরকে কখন থানায় হস্তান্তর করা হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি র্যাব।
এর আগে ভোরে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজন ও আইনুল নামের দু’জনকে। এছাড়া রোববার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ্ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল। অন্যদিকে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার এজারভুক্ত আসামিসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করো হলো।
রোববার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া একই সময় হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত থেকে অর্জুন লস্করকে আটক করে সিলেট গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে ২০ বছরের এক তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন বখাটে তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজ ছাত্রাবাসে তোলে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে গাড়িতে আটকে রেখে ৫/৬ জন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করেন।
শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা এম. সাইফুর রহমানের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের রুমে অভিযান চালিয়ে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪টি রামদা, ১টি ছুরি ও জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে শাহ পরান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: